গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি:-
গোলাপগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সানি আহমদের (২৪) দাফনের প্রায় ছয় মাস পর মরদেহ আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত সানি আহমেদ উপজেলার শীলঘাট গ্রামের কয়ছর আহমদের ছেলে।
বুধবার উপজেলার শীলঘাটে তার নিজ গ্রামের কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
এ সময় গোলাপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদসহ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। মরদেহটি উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত বছরের (৪ আগস্ট) গোলাপগঞ্জে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির সংঘর্ষে সানিসহ ছয়জন জন নিহত হন। তাদের প্রায় সবারই ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন হয়। পরে সানির বাবা কয়ছর আহমদ বাদী হয়ে মামলা করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। তবে সানির বাবা কয়সর আহমদের অভিযোগ আদালতের নির্দেশ থাকা স্বত্তেও লাশ উত্তলনে দেরি করেছে প্রশাসন।
এবিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল মাহমুদ ফুয়াদকে প্রশ্ন করলে তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে অনিহা প্রকাশ করেন।