পাগলবেসে পালিয়ে থাকা হত্যা মামলার আসামী আড়াই বছর পর সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জাহিদপুর গ্রামের শ্রমিক কর্তৃক ঠিকাদার সুজাত মিয়া হত্যার মূল আসামী গিয়াস উদ্দীন (৫০) । গ্রেফতারের পর বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ এর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তমিূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন আসামী গিয়াস উদ্দীন। সে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার সাং-বানেশ্বর, বিশ্বাসের পাড়া গ্রামের আন্জব আলীর ছেলে।
জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৩ জানুয়ারী রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার ঘটিকার সময় আসামী গিয়াস উদ্দীন সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানাধীন জাহিদপুর এলাকার ভাড়াটিয়া হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বানেশ্বর গ্রামের মৃত নুর আলীর ছেলে সুজাত মিয়া (২৬)কে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো দা দিয়ে ঘুমের মধ্যে কোপাইয়া মুখ মন্ডলে একাধিক গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়।
পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারী সুজাত মিয়া সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। উক্ত ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নার্গিস বেগম বাদী হয়ে ছাতক থানায় গিয়াস উদ্দীনসহ আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭ তারিখ-১৮/০১/২০২৩।
ছাতক থানা পুলিশ তদন্ত শেষে গিয়াস উদ্দীনকে পলাতক দেখিয়ে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র নং-২৫৩ দাখিল করেন। অপর আসামীদেরকে অব্যাহতি দেন। উক্ত অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে বাদী নারাজি দাখিল করলে আদালত ২০২৩ সালের ২১ ডিসেম্বর পিবিআই সিলেট জেলাকে তদন্তভার প্রদান করেন।
পিবিআই সিলেট জেলার তদন্তকারী অফিসার এসআই মিন্টু চৌধুরী তদন্তকালে বিশ্বস্তসুত্রে জানতে পারেন সুজাত মিয়া হত্যা মামলার প্রধান ও পলাতক আসামী গিয়াস উদ্দিন (৫০), পাগলবেশে বিভিন্ন মাজারে এবং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তি এলাকায় আত্মগোপনে রয়েছে।
উক্ত সংবাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে তদন্তকারী কর্মকর্তা চলতি বছরের ৯ আগষ্ট সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট সীমান্তবর্তী মনরতল এলাকা থেকে গিয়াস উদ্দিন গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সে পুরো ঘটনা বর্ণনা দেয় এবং আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।