সিলেটের গোলাপগঞ্জে গভীর রাতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন শেখ মো. রণি হোসেন (২৯) নামে এক যুবদল কর্মী। শনিবার (৯ আগস্ট) দিনগত রাত দেড়টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসদরের কদমতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেখ মো. রণি হোসেন উপজেলার আমুড়া ইউনিয়নের আমুড়া গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে।
তিনি যুবদলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি–তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ বলেন, গত রাত দেড়টার দিকে শেখ মো. রণি হোসেনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন তারই বন্ধু, উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বাবুল মিয়ার ছেলে রাজু আহমদ।
ঘটনার পর শেখ রণিকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাজু পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া খুনের ঘটনায় যার সূত্রপাত, সেই তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া চলছে।
ছাত্রদল নেতার পরকীয়া নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় খুন হন রনি:- শনিবার রাত ১১ টার দিকে ছাত্রদল নেতা শেখ রাজুকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন রনি হোসাইন। পোস্টে রাজুর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন তিনি। পোস্টের সাথে রাজু ও এক নারীর অন্তরঙ্গ ছবিও জুড়ে দেন রনি। এর ঘন্টাখানেক পরই ছুরিকাঘাতে খুন রনি।
শনিবার রাত ১২টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের কদম তলা এলাকায় রনিকে হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই রাজু পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্ত শেখ রাজু গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। আর রনি যুবদলের কর্মী বলে জানা গেছে। তারা দুজনই বন্ধু ছিলেন। নিহত রনি উপজেলার আমুড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের ছেলে।
ফেসবুকে কি লিখেছিলেন রনি:- শনিবার রাতে রনি হোসাইন তার ফেসবুক আইডিতে “এই কু.লাঙ্গার দুইটা বাচ্চা রেখে অন্য আরেকজনের বিবাহিত বউ নিয়ে হোটেলে হোটেলে ঘুরতেছে আর পরকীয়া করতেছে। এর প্রতিবাদ করেছিলাম এইজন্য ফেক আইডি চালু করে আমার নামে মিথ্যা বানোয়াট কথা আমার নামে পরিচালনা করতেছে এখন সে”।
এই পোস্টে তিনি শেখ রাজুর সাথে একজন নারীর ছবি জুড়ে দেন তিনি। এর আগেও একই বিষয়ে রাজুকে নিয়ে একাধিক পোস্ট দেন রনি। এরই জের ধরে হত্যাকাণ্ডটি হতে পারে ধারণা পুলিশের। তবে অভিযুক্তকে এখনও আটক করতে পারেনি পুলিশ। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান মোল্যা জানান, ময়না তদন্তের জন্য লাশ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি বলেও জানান তিনি।