সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলংয়ে বুধবার (৬ আগস্ট) আনুমানিক দুপুর দেড় ঘটিকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চাদাবাজির অভিযোগে চাঁদাবাজ চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তির নাম দুলাল তালুকদার(৪৯)।
তিনি ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়ন বাউরভাগ হাওরের মৃত সাখাওয়াত তালুকদারের ছেলে ও গোয়াইনঘাট উপজেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা দলেরসহ সাধারণ সম্পাদক মো.রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের ভাই।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও তার গ্রুপের লোকজন অবৈধভাবে জমি দখল সন্ত্রাসী সহ বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় দাঙ্গাহাঙ্গামার সৃষ্টি সহ বার বার নিরীহ ব্যবসায়িদের উপর আক্রমণ চালিয়ে এলাকার আইনশৃঙ্খলার অবনতির অপচেষ্টায় রয়েছেন চক্রটি।
অনুসন্ধান অনুযায়ী গেলো ৫ই আগস্টের পর সিলেটের কোতয়ালি থানা (এসএমপি) এবং গোয়াইনঘাট থানায় চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী দাঙ্গাহাঙ্গামা সহ্ উল্লেখিত বিভিন্ন এজাহার নামীয় অপরাধে অভিযুক্ত রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৭টি মামলার বিচারাধীন নথিপত্র পাওয়া গেছে।
এ ছাড়াও রিয়াজুদ্দিন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে রিয়াজ তালুকদারের যোগসাজশে গত ২৯ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয় শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি ব্যবসায়ি মো.আলী হোসেনকে নয়াগাংয়ের পাড় এলাকায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন রিয়াজ উদ্দিন তালুকদারের ভাই দুলাল তালুকদার ও তার সহযোগীরা।
এসময় আলী হোসেনের চিৎকার শুনতে পেয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আলী হোসেনের সাথে থাকা নগদ দুই লক্ষ পচাশি হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় আলী হোসেনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ ঘটনায় আলী হোসেনের ভাই এমারত হোসেন বাদী হয়ে রিয়াজ উদ্দিন তালুকদার সহ্ ৮জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ১০/১২জনকে অজ্ঞাত রেখে সংঘটিত ঘটনার বিবরণে গোয়াইনঘাট থানায় এজাহার দায়ের করেন। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার মো.তোফায়েল আহমদ জানান, চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িকে হত্যার চেষ্টা অভিযোগে দুলাল তালুকদার নামের একজনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।