নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিলের পরপরই সিলেট সিটির পদচ্যুত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সাবেক এমপি রনজিৎসহ ৫ জনের বাসা ভাংচুর করা হয় গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে।
ঘটনার পর যুক্তরাজ্য থেকে সরব হয়ে ওঠেছেন পদচ্যুত ও পলাতক সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ও লাইভে এসে হামলার জন্য সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিসিকের সাবেক প্রথম প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকে একমাত্র দায়ী করেন।
কয়েস লোদী অবশ্য এহেন অভিযোগ অস্বীকার করে ভাংচুরে ঘটনাকে আওয়ামী লীগের কূটকৌশল বলে দাবি করেন।
এখানে প্রশ্ন জাগে, পলাতক ও সাবেক আওয়ামী মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ঘটনাবলীর জন্য একমাত্র বিএনপি নেতা কয়েস লোদীকে কেনো দায়ী করলেন।
সিলেটে সাবেক দুইবাবের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির অনেক প্রভাবশালী কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা রয়েছেন, তাদের কাউকে কোনে দায়ী করলেন না তিনি, এমনকি তাদের প্রতি ইঙ্গিত পর্যন্ত করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ফ্যাসিস্ট সরকার আমলে আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে সিলেটে আঁতাতের রাজনীতি করেছেন।
সম্প্রীতির দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নির্বাচনীসহ বিস্তর ফায়দা হাসিল করেছেন। বিনিময়ে ৫ আগস্ট পরবর্তী নিরাপদ দেশত্যাগে আওয়ামী মেয়র এমপিরা প্রচুর শেল্টারও পেয়েছেন তার কাছ থেকে।
অভিযোগ রয়েছে পদচ্যুত আওয়ামী মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক আওয়ামী এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলসহ সিলেটের ভাগা ভাগা আওয়ামী নেতাদের জনরোষ থেকে বাঁচিয়েছিলেন এবং নিরাপদ দেশত্যাগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতারা। এমনকি সরকার বিরোধী জুলাই আন্দোলনে কোনো ভূমিকাও ছিলনা সাবেক মেয়র আরিফসহ তার বলয়ের নেতাকর্মীদের।
পক্ষান্তরে জুলাই আন্দোলনসহ স্বৈরাচার বিরোধী সকল আন্দোলন সংগ্রামে আপোষহীন ভূমিকা পালন করেন বিএনপি নেতা কয়েস লোদী।
তাইতো ৫ আগস্ট রাত পর্যন্ত কারাবন্দীও থাকতে হয়েছিল তাকে। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে বা স্থানীয় রাজনীতিতে কোনো প্রকার আঁতাত করেননি তিনি।
তাইতো সিলেট সিটির পদচ্যুত মেয়রসহ পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের চক্ষুশূলে পরিনত হয়েছেন তিনি। আর এ জন্যই সাম্প্রতিক ঘটনাবলির জন্য একমাত্র সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদীকেই দায়ী করে বক্তব্য দিয়েছেন পলাতক সাবেক মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সুত্র:- দৈনিক সিলেটের সময়