খাস জমিতে ধান শুকানোর খলা তৈরিকে কেন্দ্র করে শান্তিগঞ্জে ঈদের পরের দিন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সংঘর্ষের এক পক্ষে ছিলেন মুক্তার আলী ও অন্য পক্ষে আব্দুল খালেকের পক্ষে শাহ আলমের লোকজন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, দুই মানুষ তাদের মধ্যে অন্তত ২০ গজের মতো দূরত্ব থেকে একদল অপরকে ঢিল ও ফলার মতো কিছু ছুঁড়ছে।
অপরপক্ষ তা ঢালের মতো কিছু দিয়ে প্রতিহত করছেন এবং তারাও আক্রমণ করছেন। তাদের হাতে বাঁশের লাঠিও দেখা গেছে। আর এক পাশে ওই মারামারি দেখতে ভিড় করেছেন বহু মানুষ।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রঘুনাথপুর গ্রামের খাস জমিতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গ্রামের একাধিক পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।
সকালে রঘুনাথপুর মসজিদের সামনে ধান শুকানোর খলা তৈরি মুক্তার আলী, আব্দুল খালেক পক্ষের লোক ও শাহ আলমদের পক্ষের লোকদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ঘণ্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বর্তমানে ওই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সংঘর্ষে জড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।