বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা

প্রথম সকাল ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

আজ রাত পোহালেই আগামীকাল শনিবার দেশজুড়ে উদযাপন করা হবে ত্যাগ ও আনন্দের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়।

হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সুন্নত অনুসরণ করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই দিন কোরবানি দিয়ে থাকেন। আজ থেকে শুরু হয়েছে ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটি।

পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের দেশে ‘কোরবানির ঈদ’ নামে বেশি পরিচিত। কোরবানির পশু কেনা, তার যত্ন ও পরিচর্যাকে ঘিরে থাকে ঈদের মূল প্রস্তুতি ও আনন্দ। ঈদের দিন ভোরে উঠে পরিচ্ছন্ন পোশাকে ঈদগাহে যেতে হয়।

ঈদের জামায়াতের পর খুতবায় ইমামরা হজরত ইব্রাহিম (আ.) ও হজরত ইসমাইল (আ.)-এর কোরবানির অমর ইতিহাস তুলে ধরেন। কোরবানির সুপ্রাচীন ইতিহাসে থাকে আত্মত্যাগের উদাহরণ।

সম্মিলিতভাবে দুই রাকাত নামাজ শেষে সবার জন্য থাকে মঙ্গল কামনা। ব্যক্তি, সমাজ, দেশ, মুসলিম উম্মাহ এবং সারা বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ কামনা থাকে দোয়ায়।

পরস্পরের কোলাকুলিতে ঘটে ভালোবাসার প্রকাশ। ঈদগাহ থেকে ফিরে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পশু কোরবানি করেন। ধর্মীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মাংস ভাগ হয়ে যায় আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী ও অসহায়দের মাঝে।

পশু কোরবানিই এই ঈদের প্রধান ইবাদত। ঈদের দুই দিন পরও পশু কোরবানি হয়।

ঈদের আগে পশু কেনা, তার পরিচর্যা করার মধ্য দিয়ে যে আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়, শহুরে জনপদে এবারও তা দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারা হাট থেকে দর-কষাকষি করে পছন্দের পশুটি কিনে গলায় জরির মালা, শিংয়ে রাংতা জড়িয়ে দড়ি ধরে টানতে টানতে বাসায় নিয়ে যাচ্ছে।

আরো অন্তত সপ্তাহ বা ১০ দিন আগে থেকে গবাদি পশু ও পশু খাদ্যের সমাবেশ দেখা গেছে পাড়ায় পাড়ায়। পশুর হাঁকডাক আর তাদের যত্ন-আত্তি নিতে মানুষের ছোটাছুটিও নাগরিক পরিবেশে সৃষ্টি করছে অন্যরকম আবহ।

গ্রামের অনেক গেরস্ত অবশ্য যত্নে লালন করা নিজের প্রিয় কোরবানির পশুটিকে শেষ সময়ে ভালোমতো খাইয়ে-দাইয়ে আরেকটু প্রস্তুত করছেন। সারা দেশেই পশু কেনার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এবার ঈদ এসেছে গ্রীষ্মের একেবারে শেষ প্রান্তে। সাধারণত বর্ষার আগমনের এই সময়ে দেশজুড়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়। কোথাও কোথাও বানের জলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এবারও এই শঙ্কা রয়েছে। তবে সব প্রতিকূলতার মধ্যেও মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে আনন্দের রোদ উঠবেই।

আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ভেতরের সব পশুত্বকে ত্যাগ করবে মানুষ। কোরবানির প্রকৃত তাৎপর্য জীবনে কার্যকর করতে মানবিক সাম্য, ত্যাগ ও সহমর্মিতার জয় হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!