দেশব্যাপী চলমান পরিস্থিতির মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় রিকশা চার্জিং পয়েন্টকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে মহানগরের ৫২ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালদিয়া, দেওড়া ও পরানমন্ডলের টেক এলাকায় একাধিক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার্জিং পয়েন্ট গড়ে উঠেছে। প্রতিটি চার্জিং পয়েন্টে প্রায় তিন থেকে চার শতাধিক রিকশা রাখা হয়।
এসব চার্জিং সেন্টারের সাথে জড়িত রয়েছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা। গ্যারেজ ও চার্জিং সেন্টারের অজুহাতে সেখানে প্রতিনিয়ত গোপন বৈঠক চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে। রিকশা চালকের ছদ্মবেশে রাজনৈতিক কর্মীদের জড়ো করে নাশকতার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এই উদ্যোগের নেপথ্যে রয়েছেন গাজীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল ও তার চাচা মতিউর রহমান মতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম ভেন্ডার।
তিনি ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। মাত্র ১৫ বছরে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া এই নেতা সম্প্রতি বিএনপির একটি অংশের সঙ্গে সমঝোতা করে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ আরও আছে, সম্প্রতি জাহাঙ্গীর ভেন্ডার কক্সবাজারে গিয়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন এবং সেখানে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ হয়।
পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তিনি রিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টকে ব্যবহার করে গোপনে কর্মী সংগঠিত করছেন এবং গাজীপুর-উত্তরা এলাকায় বড় ধরনের নাশকতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে অর্থায়ন করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের দাবি, অনতিবিলম্বে গাজীপুর মহানগর, বিশেষ করে টঙ্গীর রিকশার গ্যারেজ ও চার্জিং পয়েন্টগুলোর ওপর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি কোনো চার্জিং সেন্টারে পাঁচটির বেশি রিকশা চার্জ দেওয়ার অনুমতি না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।