নিজস্ব প্রতিবেদক:- সিলেট নগরীর কালিঘাটের (মসলাপট্রি কারখানা ঘাট) এ চলমান মিজানের জুয়ার আসর বন্ধ হচ্ছেনা। জুয়ার আসর বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন প্রদক্ষেপ।
অভিযোগ উঠেছে কোতোয়ালি থানার বড় কর্থা বাবু ও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার ইশারায় চলছে মিজানের জুয়ার জমজমাট আসর।
জুয়া খেলা বন্ধ না হওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সচেতন মহলের অভিযোগ এসব আয়োজনের সাথে স্থানীয় প্রশাসন ও কিছু নেতা সরাসরি সম্পৃক্ত বলেই জুয়ার আসর বন্ধ হচ্ছে না।
স্হানীয় সুত্রে জানা যায়, মিজানের জুয়ার আসর পরিচালনা করছেন বর্তমান প্রভাবশালী কিছু নেতা এবং থানার কর্তা বাবুরা।
বিগত সরকারের সময় আওয়ামিলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতারা জুয়ার বোর্ড থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা নিয়ে অবৈধ জুয়ার বোর্ডকে দলীয় অনুমোদন দিয়েছিলেন যার ফলে প্রশাসন ছিল নীরব। সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমানেও নেতা মশাই ও থানার কর্তা বাবুর ইশারায় চলে মিজানের জুয়ার আসর।
সুত্র জানায়, ২০২৪ সালের ৫ আগষ্টের পর এসব জুয়ার বোর্ডের মালিকরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি সিলেটে জুয়ার বোর্ডের কয়েকজন জুয়াড়ি থানা পুলিশের উপর হামলা করলেও নেই কোন মামলা বা পদক্ষেপ। তার কারন হিসেবে জানা যায় চাঁদা নিয়েই গন্ডগোলেের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
সুত্র জানায়, কালিঘাটে (মসলাপট্রি কারখানা ঘাট) ভারতীয় তীর খেলা ও জুয়ার বোর্ডের দায়ীত্বে রয়েছেন লটারী মিজান। মিজানের নেতৃত্বে চলছে রমরমা জুয়ার আসর।
একপাশে চলে তীর খেলা আর একপাশে হৈ হুল্লোড় করে অনেকটা উৎসবের আবহে চলে জমজমাট জুয়ার আসর। ছোট একটা ঝুপড়ি ঘরের ভিতর জুয়া ও তীর খেলায় মগ্ন থাকে সবাই।
সুত্র জানায়, তীর খেলা শুরু হয় দুপুরে আর জোয়ার বোর্ড বসে রাতে চলে গভীর রাত পর্যন্ত। মিজানের জুয়ার আসরে জুয়া খেলায় অংশ নেয় যুবক, কিশোর, বৃদ্ধ শ্রমিকরা।
আর সে সুবাদে লেবার, ভ্যানগাড়ী, ড্রাইভারসহ সবার কাছ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শীর্ষ জোয়াড়ী মিজান।
স্থানীয়রা কয়েকজন জানান, সন্ধ্যা হলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে মিজানের জুয়ার আসরে কালিঘাটের শ্রমিকসহ আশপাশের লোকজন। অনেকেই লোভের ফাঁদে পড়ে জুয়ার বোর্ডে টাকা ফেলে নিঃস্ব হন। এসবের কারণে অত্র এলাকার যুবসমাজ বিপদগামী ও নৈতিক অবক্ষয়ের সম্মুখীন হচ্ছে।
সচেতন মহলের অভিযোগ, একটি স্বার্থন্বেষী মহল জুয়ার আসর বসিয়ে সহজ সরল মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন লোক দেখানো অভিযান চালালেও তারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার শুরু হয়ে যায় জুয়ার আসর।
এ বিষয়ে জানতে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হকের মোবাইলে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে বন্দর বাজার ফুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এবাদউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, আমি আইনী ব্যবস্হা নিচ্ছি।