সিলেটে একজন জুলাই যোদ্ধাকে মারধরে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। লাঞ্চনার শিকার ঐ যোদ্ধার নাম সেলিম আহমদ বলে জানা গেছে। তিনি সিলেট নগরীর লামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গেল বছর জুলাই–আগষ্টে ফ্যসিবাদি আওয়ামীলীগ সরকারের বিরোদ্ধে আন্দোলনে তিনি আহত হন। তার নাম জুলাই যোদ্ধার তালিকায় রয়েছে। স্হানীয় সুত্রে জানা গেছে, ৫ আগষ্ট সিলেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে সকালে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারসহ প্রশাসন ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে সেলিমকেও দাওয়াত দেয়ে হয়। তিনি সেখানে যান। শুরু হয় বক্তব্য। বক্তব্যের এক পর্যায়ে একজন জুলাই যোদ্ধা পুলিশের হামলার বিষয়সহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে বক্তব্য দেন। তখন পাশে থাকা জুলাই যোদ্ধা সেলিম এ বিষয়ে প্রশ্ন তুললে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এক পর্যায়ে আরো কয়েকজন জুলাইযোদ্ধা মিলে সেলিমকে মারধর করে টেনে হিছড়ে শিল্পকলা একাডেমি থেকে বের করে দেন। তাৎক্ষনিক এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড়। অনেকেই এ ঘটনার বিচার দাবী করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেলিমকে এক ব্যাক্তি সভার স্হান থেকে ধাক্কা দিয়ে মারধর করে বের করে দিচ্ছেন। এ সময় সেলিম নিজেকে একজন জুলাই যোদ্ধা বলে পরিচয় দিলেও তার কথায় কেউই কর্ণপাত করেননি। ঘটানার সময় পাশেই দাড়িয়েছিল পুলিশ। কিন্তু তাদের ভুমিকা ছিল নিরব। পুলিশের এমন ভুমিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। সেই সাথে এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরব। সেলিম আহমদ বলেন, একজন শহীদের ভাই পুলিশের সাথে, সেনাবাহিনীর সাথে তার সমস্যার কথা বললে আমি বলি যে শুধু উনার সাথেই কেনো এমন হচ্ছে, অন্যদের সাথে তো হচ্ছে না। তখন তিনিসহ আরো কয়েকজন আমার সাথে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পরে। পরে তারা আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। জানা যায়, সেলিম পেশায় একজন ইলেক্ট্রিক কাজের ঠিকাদার। তিনি ছোটবেলা থেকেই বিএনপি করে আসছেন।