পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এলাকার দুই প্রবাসীকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় নাম ঢুকিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জকিগঞ্জ উপজেলার বিরশ্রী ইউনিয়নের বরকত পুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে জাফরুল তালুকদারের বিরুদ্ধে।
ভোক্তভোগীরা হলেন, একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জাকারিয়া এবং শফিকুর রহমানের ছেলে মাহমুদ। এর মধ্য মাহমুদ দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। এবং জাকারিয়া রয়েছেন কানাডাতে।
সিলেট নগরীতে জাকারিয়ার ব্যবসা রয়েছে। তিনি বিএনপি, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতার সাথে পার্টনারশীপ ব্যবসা করেন। এই দুই ভোক্তভোগী প্রতিবেদককে ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তাদের কথা জানান।
তাদের উপর দায়েরকৃত মামলার তথ্য সম্পুর্ণ সাজানো। তাদেরই এলাকার জাফরুল তালুকদার মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলায় ঢুকানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তাদের সাথে জাফরুলের দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্ধ রয়েছে।
তিনি হিংসাপরায়ন হয়ে মামলায় তাদের নাম ঢুকনোর জন্য জকিগঞ্জ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে অনুরোধ করেন। তারা বলেন, সিলেট ও জকিগঞ্জে তাদের নামে কোন মামলা নাই।
শুধু এই জাফরুল তালুকদার তার নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য তাদেরকে মামলায় ঢুকিয়ে এলাকায় দুর্নাম রটানোর চেষ্টা করছেন।
জাকারিয়া জানান, তার নামে এলাকায় কোন ধরনের অপবাদ নাই। তিনি একজন ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জাফরুল তার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। অথচ জাফরুল এলাকায় একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে তিনি জানান।
আরেক ভোক্তভোগী মাহমুদ জানান, তিনি প্রায় ৪/৫ বছর যাবৎ মধ্যপ্রাচ্যে রয়েছেন। গত ৪ আগষ্টের পর তার উপর মিথ্যা মামলা দেয়ার অপচেষ্টা করা হয় জাফরুল তালুকদারের ইশারায়।
তিনি বলেন, জাফরুল আমাদের এলাকার। তার সাথে আমাদের পারবারিক জামেলা রয়েছে। সে আমাদের উন্নতি দেখতে পারে না। তাই আমাকে হয়রানি করার উদ্দ্যেশে এসব করছে।
তিনি প্রতিবেদকে জানান, পারিবারিক দ্বন্দ্বের ‘মাস্টার মাইন্ড’ তারই এলাকার জাফরুল প্রতিহিংসামুলকভবে এলাকায় তাদের নামে মিথ্যা গুজব ছড়াচ্ছে।
এদিকে বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, জাফরুলের বিরুদ্ধে রয়েছে ডাকাতি ও ধর্ষন মামলা। সে কয়েকবার জেলও খেটেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা এখনও বিচারাধীন।
৪ ভাইয়ের মধ্যে ১ ভাই ব্যতিত সবাই ডাকাতির সাথে জড়িত বলে সুত্র নিশ্চিত করেছে। জাফরুল এলাকায় বিভিন্ন লোকজনের নামে বদনাম রটিয়ে ফায়দা হাসিল করেন।
বর্তমানে তিনি যুবদলের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় চলাফেরা করছেন। সবাইকে তিনি বলে বেড়ান যুবদলের কর্মী। ইতিমধ্যে তিনি বিএনপির পোষ্টার ব্যবহার করে ঈদ শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন।
এদিকে জাফরুল তালুকদার প্রতিবেদকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ জানান। তিনি প্রতিবেদককে জানান, জাকারিয়া ও মাহমুদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
তখন তার কাছে মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেননি। জাকারিয়া ও মাহমুদের নামে কি কি মামলা রয়েছে তাও তিনি বলতে পারেননি।
এক পর্যায়ে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবেদকে ব্লক মেরে তার সব তথ্য ও কথোপকথন মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রতিবেদকের কাছে তার সব তথ্য প্রমান রয়েছে।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা নিরপরাধ কাউকে গ্রেফতার করছি না। প্রত্যেকটি মামলা যাচাই বাচাই করে সঠিক অপরাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, গত ৫ আগষ্টের পর এরখম অনেক মামলা আমাদের হাতে এসেছে যা ঘটনার সাথে অভিযুক্ত জড়িত না। অনেকে বিদেশে থেকেও আসামী হয়েছেন।মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামালা দায়েরের বিরুদ্ধেও ব্যবস্হা নেয়া হবে।