রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ অপরাহ্ন

নরসিংদীতে জব্দৃকৃত ৯৬ কেজি গাজা বিক্রির অভিযোগে ২ ওসি বদলি

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ, ২০২৫
  • ৭২ বার পড়া হয়েছে

প্রথম সকাল ডেস্ক:- নরসিংদীতে ডিবির হাতে জব্দৃকৃত ৯৬ কেজি গাজা বিক্রি করে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় ডিবির ওসিসহ দুই কর্মকর্তাকে রেঞ্জ অফিসে বদলি করা হয়েছে।

জানা যায়,  ডিবি পুলিশ কাছে আটক গাজা মালখানায় জমা না দিয়ে নিজেরা বিক্রি করে দিয়েছেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে মালখানার দায়ীত্বে থাকা পুলিশকে করেন ঘুষের অফার।

বিষয়টি জানাজানির পর প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশের ওসি খন্দকার জাকির হোসেনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ঢাকার রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে দুজনকে ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্তির বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নরসিংদী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ বিষয়ে মৌখিক একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওসি মো. কামরুজ্জামান। জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিঘর আটাশিয়া এলাকায় মনির হোসেনের লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল গাফফার।

এরপর সেই গাঁজা নরসিংদী ডিবি অফিসে নিয়ে যান। বিষয়টি ওসি কামরুজ্জামানকে অবহিত করেন। জব্দ তালিকায় ৯৬ কেজি গাঁজার বাজার মূল্য দেখিয়েছেন ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। আইন অনুসারে জব্দ হওয়া মালামাল জিডি মূলে আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

ওই সময় আদালতের বিচারক জব্দ ৯৬ কেজি গাঁজা (মাদক) ধ্বংস করে বা পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। কিন্তু নরসিংদী ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান জেলা কোর্ট পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জাকির হোসেনকে ম্যানেজ করে ওই গাঁজা মাধবদী আলগী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মায়া প্রধানের কাছে বিক্রি করে দেন।

প্রতি কেজি গাঁজার বাজার মূল্য ২৫ হাজার টাকা হলেও ১৫ হাজার টাকা কেজি ধরে ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। পরে সেই টাকা ডিবির ওসি ও কোর্টের ওসি ভাগ করে নেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। তবে আদালতের নথিতে দেখা যায় জব্দ ৯৬ কেজি মাদক ধ্বংস করা হয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, উদ্ধার হওয়া মাদক বিক্রি করা নরসিংদী ডিবির ওসির পুরোনো স্বভাব। এর আগে ১৮শ টাকা বোতল হিসাবে প্রায় ৬শ বোতল ফেনসিডিল ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের অফিসার আলামত জব্দ করে তা তালিকা করে কোর্টে পাঠিয়েছেন। কোর্ট রিসিভ করেছেন। এরপর কোর্ট তা ধ্বংস করেছেন। সেই অর্ডারও আমার অফিসে আছে।

এখন কোর্ট ধ্বংস করেছে, না করেনি-সেটা তো কোর্টের ব্যাপার। এখানে আমার কী দায়বদ্ধতা আছে? এখানে আমার তো কোনো জবাব নেই।

৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ। এখানে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। কী ষড়যন্ত্রের শিকার তা যাচাই করে দেখেন। তিনি বলেন, আমি বিক্রি করলে কোর্ট কি ধ্বংস করলেন?

এ বিষয়ে নরসিংদী পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, ডিবির ওসির বিরুদ্ধে উদ্ধার হওয়া মাদক ধ্বংস না করে বিক্রির মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে অফিশিয়ালি তদন্ত চলছে। তাই কোনো মন্তব্য করতে চাই না। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সুচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:১৭ পূর্বাহ্ণ
  • ১২:০১ অপরাহ্ণ
  • ১৬:৩০ অপরাহ্ণ
  • ১৮:২৬ অপরাহ্ণ
  • ১৯:৪৩ অপরাহ্ণ
  • ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102