সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ডের নেতৃত্বের প্রত্যাশী প্রার্থীরা এখন ভোটারের দুয়ারে দুয়ারে, সেই সাথে চলছে ব্যাপক প্রচারণা। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। নেতাকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা বেড়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা চাঙা হয়ে উঠেছেন। তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।সময় যত ঘনিয়ে আসছে ততই অত্র ওয়ার্ডে ভোটের আমেজ বাড়ছে। কাঙ্ক্ষিত পদে শেষ হাসি কে হাসবেন তারই অপেক্ষায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনকে ঘিরে উচ্ছ্বসিত ৩২ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ায় ব্যানার, ফেস্টুন শোভা পাচ্ছে। সম্মেলনকে ঘিরে আনন্দ-উল্লাস বিরাজ করছে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এই সম্মেলনে সকল প্রার্থীদের বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষণ। প্রার্থীরাও প্রত্যেকটি পাড়ায় ভোটারদের কাছে গিয়ে নিজেদের পক্ষে সমর্থন চাইছেন। দিচ্ছেন নানা রকমের প্রতিশ্রুতিও। তবে, সব মিলিয়ে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের সিস্টেম করায় ভোটারদের কদর বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যে ৩টিপদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মোট ১০জন প্রার্থী ভোটের মাঠে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের ভোট উৎসবে সম্পৃক্ত হওয়া ও তাদের প্রত্যক্ষ ভোটে দলীয় সভাপতি, সম্পাদক ও সাংগঠনিক পদে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইকে ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বিএনপি অনুসারীদের মধ্যে। শেষ সময়ে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ১০ প্রার্থী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রার্থীর পক্ষে থাকা সমর্থকরা দেশ-বিদেশ থেকে ভোট প্রার্থনা করছেন। সব মিলিয়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলন।
সম্মেলনে সভাপতি পদে মুখোমুখি হচ্ছেন তিনজন। তারা হলেন, সিলেট জেলা যুবদলের সহ সভাপতি ও ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান রুমেল, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউর রহমান সুমন, বিলুপ্ত হওয়া টুলটিকর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ তসলিম উদ্দিন।
সাধারন সম্পাদক পদে মুখোমুখি হচ্ছেন চারজন তারা হলেন, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারন সম্পাদক, সদর উপজেলার জাসাসের সাবেক সাধারন সম্পাদক রউফুজ্জামান কায়সার, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইসলামপুর পাড়া কমিটির সাধারন সম্পাদক বেলাল আহমদ, বিএনপি সমর্থিত কর্মী শামসুজ্জামান বাবর ও মোঃ শাহ আলম হিলটন।
সাংগঠনিক পদে রয়েছেন তিনজন। এরা হলেন, শাহ আলম, ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ইমরান আহমদ ইমু ,সিলেট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, বিএনপির টুলটিকর পাড়া কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ পারভেজ।
এদিকে উক্ত ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়ার বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান—সম্মেলনে যাদের নির্বাচিত করা হবে তারা ওয়ার্ড বিএনপিকে আরও শক্তিশালী করবে এবং কর্মীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সভাপতি পদে তিনজনের নাম আলোচনায় এলেও মুলত লড়াই হবে জিয়াউর রহমান সুমন ও হাবিবুর রহমান রুমেলের মধ্যে। অপর দিকে সাধারন সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন রউফুজ্জামান কায়সার ও বেলাল আহমদ। সাংগঠনিক পদে রয়েছেন তিনজন, এদরে মধ্যে ইমরান আহমদ ইমু ও আব্দুল আহাদ পারভেজ মুল আলোচনায়।
সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। এছাড়া অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেন ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আমিনুল ইসলাম আমিন।
তিনি জানান, সম্মেলনের তারিখ আজ রবিবার ছিল, কিন্তু সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। সম্ভাব্য তারিখ ১৯ বা ২০সেপ্টেম্বর হতে পারে। নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে সঠিক তারিখ জানতে পারবেন বলে তিনি প্রথম সকালকে জানান। সম্মেলনের ভেন্যু কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে মেজরটিলার শাহজালার বিদ্যালয়কে বেচে নেয়া হয়েছে। নেতৃবৃন্দ চাইলে হয়ত পরিবর্তন হতে পারে। তিনি জানান, সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। উৎসব মুখর পরিবেশে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন শেষ হবে সেই আশা করছি।
এদিকে সম্মেলন সফল করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল পিপি আব্দুল মুকিত অপি। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকবেন অ্যাডভোকেট সাজেদুল ইসলাম সজীব ও অ্যাডভোকেট মঞ্জুর ইলাহি সামী।