৭ তারিখের মধ্যে সিলেটে অটোরিকশা, টমটম ও ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না করলে ৮ তারিখ থেকে সকল পরিবহণ বন্ধের হুশিয়ারী দিয়েছেন সিলেট জেলা বাস মিনি বাস কোচ ঐক্য পরিষদের সভাপতি মইনুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমরা কারো সাথে ঝামেলা করতে চাই না। আমরা দেশের ক্ষতি করতেছি না। প্রশাসনের অভিযানে তাদের সাথে আমরা মালিক-শ্রমিক শেণি আছি।
আমরা আশাকরি সিলেটের আপামর জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিকমহল আমাদের সাথে একমত হবে বলে আশাবাদী। আমি প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই, এখন পূজা চলতেছে।
৭ তারিখ পর্যন্ত পূজা রয়েছে। আমরা ৭ তারিখ পর্যন্ত সময় দিলাম। ৭ তারিখের মধ্যে যারা আমাদের শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে, তাদের কঠিন থেকে কঠিনতর বিচার করতে হবে।
৭ তারিখের মধ্যে যদি অটোরিকশা, টমটম, ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ না হয়, যারা ইন্ধন দিয়েছে, যারা আমাদের শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে, আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে, তাদেরকে যদি আইনের আওতায় না নিয়ে আসা হয়, ৮ তারিখ থেকে আমরা রাজপথে সকল পরিহন বন্ধ করে দিবো।
সিলেট সকল পরিবহণ বন্ধ হয়ে গেলে অটোরিকশা কিভাবে কাভার দেয় সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন। আশা করি তাদেরকে ৭ তারিখের মধ্যে তাদের আওতায় আনেন, তাদেরকে কারা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে আসেন।
শনিবার দুপুরে সিলেট নগরের বন্দরবাজারে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে এবং সিএনজি অটোরিকশা, ট্রাক, লেগুনার উপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সমাবেশে এই ঘোষণা দেন তিনি। প্রতিবাদ সমাবেশে সিলেটের পরিবহণ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
সমাবেশে মইনুল ইসলাম আরও বলেন,অটোরিকশা বন্ধের নামে প্রশাসন একশনে গিয়েছে। সেখানে প্রতিবাদের নামে আমাদের পরিবহণের উপর হামলা কেন করা হয়? আমার শ্রমিক এতে আহত হয়েছেন।
তারা আমাদের বিভিন্ন যানবাহণের ওপর হামলা করেছে। তারা আমাদেরকে কেন প্রতিপক্ষ বানিয়ে আমাদের ওপর হামলা করবে? তাদের কোনো দাবীদাওয়া থাকলে সেটা প্রশাসনকে জানাবে। যদি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে আমাদেরকে জানাও। অটোরিকশা দেশের ক্ষতি করছে, বিদ্যুতের অপচয় করতেছে।
এসময় বক্তব্য রাখেন- শ্রমিকনেতা রুমন মিয়া, দিলোয়ার হোসেন, মাসুম লস্কর, সানোয়ার আলী, লিটন আহমদ, রেজাউল করিম প্রমুখ।