রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

সিলেটে এবার অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলায় আসামি ২৯১

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

প্রথম সকাল ডেস্ক:- সিলেটে আওয়ামী লীগের সাবেক দুই সংসদ সদস্য এবং জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক ১০জন কাউন্সিলরসহ ২৯১জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রনজিত সরকারকে প্রধান আসামি করে আদালতে দাখিল করা এ মামলায় দলটির ১৮১জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০-১১০জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের আদালতে অভিযোগ দেন সিলেট নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়া এলাকার সৈয়দ আকরাম আল সাহান (৪২)।

আদালতে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী (সিআর ফাইলিং) মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পর আদালত সেটি আমলে নিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানা পুলিশকে তদন্ত করার জন্য আদেশ দেন।

মামলায় রনজিত সরকার ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মধ্যে আজাদুর রহমান আজাদ, জগদীশ চন্দ্র দাস, আফতাব হোসেন খান, আবদুর রকিব বাবলু, রুহেল আহমদ, আবদুল খালিক, আবুল কালাম আজাদ লায়েক, জাহাঙ্গীর আলম, হুমায়ুন কবির, ফজলে রাব্বি চৌধুরী মাসুম ও হাজি হেলাল উদ্দিন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিজিত চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান জামিল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি নাঈম আহমদ, সাধারণ সম্পাক কিশোওয়ার জাহান সৌরভ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফসর আজিজ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অনিক দাস, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল লতিফ।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সিলেট নগরের কোর্ট পয়েন্ট ও সিটি পয়েন্টে আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে পিস্তল, রাইফেল, বন্দুক, কাটা রাইফেল, শটগানসহ নানা ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিয়ে হামলা চালান।

এ সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে দা, ডেগার, কিরিচ, লম্বা চাকু, লোহার রড ও পাইপ, হকিস্টিকসহ নানা দেশি-বিদেশি অস্ত্র ছিল। তাঁদের হামলায় অনেকে আহত হন। ওই দিনের ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলেও প্রচারও হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, আদালতের আদেশ রাত ৯টা পর্যন্ত থানায় পৌঁছায়নি। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!