সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

পিরেরবাজার এলাকায় নিশাচর সাংবাদিকদের দৌরাত্ব : চেক পোস্ট বসিয়ে চলে গাড়ি তল্লাশী

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:- সিলেট শহরতলীর পিরের বাজারে আতিক সেন্টারের সামনে প্রতিদিন সাংবাদিক পরিচয়ে চলে ভারত থেকে আসা অবৈধ বুঙ্গার চিনির গাড়ি লুটপাটের ধান্দা।

এসব সাংবাদিকরা তামাবিল সড়কে চলাচলকারি প্রত্যেকটি ট্রাক আটকিয়ে তল্লাশী করেন। তল্লাশী করার সময় ট্রাকে চিনি বা ভারতীয় অন্য কোন পণ্য পেলে তা সাথে সাথে লুটপাট হয়ে যায়। তবে পরিচিত হলে পাওয়া যায় “ডিসকাউন্ট”। পরিচিত কেউ হলে লুটপাট থেকে রেহাই পেলেও দিতে হয় চাঁদা।

স্হানীয় সুত্রে পাওয়া খবরে জানা যায়, জনৈক কয়েকজন তথাকথিত সাংবাদিক প্রতিদিন রাতে পিরেরবাজার এলাকায় পাহারা বসান। এটাকে তাদের ভাষায় চিনির ঘাটি বলে থাকেন।

এসব সাংবাদিকদের নেই কোন ভিত্তি, এরা দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, বাৎসরিক এরখম নাম না জানা অনেক পত্রিকার পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করেন, এদেরকে মেজরটিলা ও পিরেরবাজারের  স্হানীয়  কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা শেল্টার দিয়ে থাকেন। জানা যায়, ঐসব সাংবাদিকদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদের বন্ধুও আছেন কয়েকজন।

স্হানীয়  কয়েকজনের সাথে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে  প্রথম সকালকে জানান, চোরাকারবারিদের জিম্মি করে চলে লুটপাট ও চাদাবাজি, চাঁদা না দিলে বা লুটপাটে বাধা দিলে করা হয় নির্যাতন নতুবা ধরিয়ে দেয়া হয় পুলিশের কাছে। তাদের এসব কাজে কেউ বাধা দিলে মিথ্যা সংবাদের হুমকি দেয়া হয় এমনকি রজনৈতিক নেতারাও মিথ্যা মামলার ভয় দেখান।

অপর একটি সুত্র থেকে জানা যায়, তামাবিল সড়ক হয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০-৩০টি ট্রাক ভারতীয় বুঙ্গার চিনি নিয়ে সিলেট শহরে ঢুকে। এর মধ্যে কিছু ট্রাক খাদিম বাইপাস হয়ে মোগলাবাজার, গোালপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার যায়। বাকি ট্রাক সিলেট নগরী ও হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্হানে যায়।

পিরেরবাজারে প্রায় ৮/১০ জনের একটা গ্রুপ রয়েছে ভারত থেকে আসা অবৈধ চিনির স্বাদ নেয়ার জন্য। এরা রাত হলেই বেরিয়ে পড়ে জাতির বিবেক ও কলম সৈনিক পরিচয় দিয়ে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি করতে।

বেশীর ভাগ সময় এদেরকে দেখা যায় গলায় কার্ড ও হাতে বুম নিয়ে ঘুরতে। মুলত এরা কোন পত্রিকায় কাজ করে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তবে তাদেরকে অনেকই “নিশাচর” সাংবাদিক বলে ডাকেন!!

এ ব্যাপারে শাহপরান পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরখম একটা খবর আমাদের কাছে এসেছে। তিনি শাহপরান থানার ওসির সাথে আলাপ করে যারাই এসব কান্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিবেন বলে জানান।

 তবে তিনি একজন সাংবাদিকের নাম উল্ল্যেখ করে পরে আবার সরি বলে ফোন রেখে দেন।

তথ্য ও নাম নিয়ে আগামীতে থাকছে আরেকটি প্রতিবেদন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!