সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নগরে ৫০টি অবৈধ স্ট্যান্ড, ৪০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবৈধ, আগামীকাল থেকে অভিযান ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল তিন দেশ তফসিল ঘোষণা, ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃ/ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু র ঘটনায় সিলেট স্কলার্সহোমে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : ৫ দফা দাবি আগামীকাল থেকে নগরীতে অভিযান : অনুমোদনবিহীন কাগজপত্র ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না চুনারুঘাটে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সং-ঘ-র্ষে নি/হ/ত ১ গোলাপগঞ্জে এমরান চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল ছাতকে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে সং ঘ র্ষ, আ/হ/ত ১৫ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এড়াতে রোববার স্কলার্সহোম বন্ধ ঘোষণা

নগরে ৫০টি অবৈধ স্ট্যান্ড, ৪০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবৈধ, আগামীকাল থেকে অভিযান

প্রথম সকাল ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৬১ বার পড়া হয়েছে

সিলেট নগরের আম্বরখানা থেকে চৌকিদিখি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক। এই সড়কের দুই পাশজুড়েই এলোপাতাড়িভাবে সিএনজি অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে রাখা। ফলে সংকুচিত হয়ে পড়েছে সড়ক। এতে করে ওসমানী বিমানবন্দরগামী গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের আম্বরখানা এলাকায় সবসময় লেগে থাকে যানজট। দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। কেবল এই একটি সড়ক নয়, সিলেট নগরের অন্তত ৫০ টি এলাকায় এভাবে সড়ক দখল করে গড়ে ওঠেছে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড।

অপরদিকে, সিলেটে সব মিলিয়ে বৈধ সিএনজি-অটোরিকশার সংখ্যা ১৯ হাজার ২০০। বিআরটিএ থেকে অনুমোদন নিয়ে এসব অটোরিকশা সিলেটে বৈধভাবে চলছে। কিন্তু বাস্তবে নগরে চলাচল করছে ৫০-৬০ হাজার সিএনজি-অটোরিকশা। শ্রমিক ও পুলিশের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে এসব অটোরিকশা চলাচল করছে।

এগুলোই এখন সিলেট নগরে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ। অবশেষে এসব অবৈধ অটোরিকশা ও অটোরিকশা স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে প্রশাসন। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নগরে কোন অবৈধ অটোরিকশা চলতে পারবে না এবং অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সিলেটের জেলা প্রশাসক। সাম্প্রতিক সময়ে নগরে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এদিকে, নগরের সড়কে দিন দিন সিএনজি-অটোরিকশার দাপট বাড়ছে।

অথচ বিআরটিএ থেকে দেয়া হচ্ছে না চলাচলের কোনো অনুমোদন। পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, সিলেট নগর ও জেলায় এখন চোরাই সিএনজি-অটোরিকশা দ্বিগুণ বেড়েছে। শুধুমাত্র  ‘টোকেন’ ব্যবহার করে এগুলো সড়কে চলছে। এ ছাড়া, অবৈধ স্ট্যান্ডেরও ছড়াছড়ি। সিলেট সিটি করপোরেশন কিংবা প্রশাসনের তরফ থেকে এসব স্ট্যান্ডের কোনো অনুমোদন নেয়া হয়নি।

গায়ের জোরে শ্রমিক নেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো স্ট্যান্ড বসিয়েছে। সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরে বর্তমানে এভাবে ৫০টি’র মতো অবৈধ স্ট্যান্ড রয়েছে। অবৈধভাবে চলাচলকারী ৪০ হাজার সিএনজি-অটোরিকশাকে টোকেন দিয়ে চালানো হচ্ছে। এরমধ্যে অর্ধেক অটোরিকশা রয়েছে অনটেস্ট। যেগুলো বিভিন্ন শোরুম থেকে কেনা হয়। অনটেস্ট নামে বছরে পর বছর এসব সিএনজি-অটোরিকশা সড়কে চালানো হচ্ছে। এর বাইরে অর্ধেক গাড়িই হচ্ছে চোরাই।

এর সংখ্যা হবে প্রায় ১৫ হাজার। ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করে আনা এসব সিএনজি-অটোরিকশা অনটেস্টের নামেই নগরে চলছে। টোকেন থাকায় ট্রাফিক পুলিশও তাদের ধরে না। সিএনজি-অটোরিকশা মালিকরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিত সময়ে আরও ভয়াবহ কাজ হচ্ছে ভুয়া অকশনের কাগজ ব্যবহার করে সিএনজি-অটোরিকশা চালানো হচ্ছে।

এ ছাড়া শ্রমিক নেতাদের শেল্টারে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল করছে। তারা টোকেন দিয়ে পুলিশ ম্যানেজ করে অটোরিকশা চলাচল করাচ্ছে। পাশাপাশি একটি বৈধ নাম্বার দিয়ে ৮-১০টি সিএনজি-অটোরিকশা নগরে চলাচল করে। এই অবস্থায় বৈধ অটোরিকশার মালিকরা হচ্ছেন  হয়রানির শিকার। পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের টাকা না দেয়ার কারণে নানাভাবে বৈধ সিএনজি-অটোরিকশার শ্রমিক ও মালিকদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।

সিলেট জেলা সিএনজি-অটোরিকশা, অটোটেম্পু, টেক্সি, টেক্সিকার মালিক সমিতির সভাপতি শাহ মো. দিলওয়ার জানিয়েছেন, নগরে চলাচলকারী অবৈধ অটোরিকশার কারণে যানজট হচ্ছে। বাড়ছে অপরাধও। এদিকে, সিলেট নগরে অবৈধভাবে চলাচল করা সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এসময়ের মধ্যে এসব অটোরিকশা নগর থেকে না সরালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত মঙ্গলবার সিলেট কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, সিলেট নগরে সিএনজিচালিত বৈধ অটোরিকশা আছে ১৯ হাজার। তবে অবৈধ অটোরিকশা আছে তারচেয়েও বেশি। এগুলোকে নগরে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তিনি এলন, আমরা অবৈধ অটোরিকশা চালকদের ১৫ দিনের সময় দিয়েছি। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেসব সিএনজি শহরে চলাচলের লাইসেন্স নাই সেগুলো শহরের বাইরে সরিয়ে নিতে হবে।

এগুলো বিভিন্ন উপজেলায় চলে যাবে। এই সময়ের মধ্যে না সরালে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হবে। প্রয়োজনে ডাম্পিং করা হবে। নগরজুড়ে সিএনজি অটোরিকশার অভেধ পার্কিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের জন্য পার্কিংয়ের নির্দিস্ট স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পার্কিংয়ের জন্য কোথায় কোথায় ব্যবস্থা করা যায় তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তবে সিএনজি চালকরা অনেক সময় পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে সড়কে চলে আসে।

এতে যানজট সৃষ্টি হয়। এখন আমরা তাদের সতর্ক করছি। তারপরও তারা নিয়ম না মানলে আইনগত ববস্থা নেওয়া হবে। আর ২২ সেপ্টেম্বর হতে নগরীতে কোন অবৈধ যানবাহন চলাচল করবে না, অবৈধ স্ট্যান্ড থাকবে না বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী। মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর পুলিশ সদর দপ্তরের সভাকক্ষে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!