বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৬ অপরাহ্ন

দল বদলে হিড়িক : মানছে না কেউ দলীয় কমান্ড?

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৫১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:- মাত্র ১৯ দিনের আন্দোলনের চাপের মুখে দীর্ঘ ১৬ বছরের স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট গন হত্যাকারি হাসিনার পালিয়ে যাওয়া পর বিএনপিতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনুপ্রবেশের হিড়িক পড়েছে।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে দলীয়ভাবে কঠোর অবস্থান নেওয়া হলেও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা তাদের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীরা।

বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন অন্য কথা। রাজনৈতিকভাবে তাদের ঘায়েল করতে দলের ভেতর থেকে কেউ কেউ মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণত জাতীয় নির্বাচনের আগে ও পরে এবং রাজনৈতিক পালাবদলের সময় দলবদলের হিড়িক পড়ে।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে দলবদলে আদর্শিক কোনো বিষয় থাকে না। পুরোটাই ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ, আত্মরক্ষা ও রাজনীতিতে টিকে থাকা এবং নির্বিঘ্নে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করাটাই মুখ্য হয়ে ওঠে। তবে এসব অনুপ্রবেশকারির দলের জন্য বিপদ ডেকে আনে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপিতে আশ্রয় নিতে পারে এমন আশঙ্কায় দলে যোগদান বন্ধের নোটিশ জারি করে বিএনপি।

এ বিষয়ে গত ৮ আগস্ট বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্রীয় কমিটি পর্যন্ত কোনো স্তরেরই কমিটিতে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে যোগদান করানো যাবে না। এ ঘোষণার মাধ্যমে মূলত বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে নতুনভাবে যুক্ত হওয়ার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়।

তবে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা এমনকি জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে ‘সমঝোতা’র মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আশ্রয় দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে অংশীদারত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে।

গত কয়েকদিনে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মী এমন অভিযোগ করেন ।

স্থানীয় বিএনপি ও যুবদলের একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি অগোছালোভাবে চলছে। জেলা ও মহানগরে একাধিক গ্রুপ সক্রিয়। বেশ আগে থেকেই তারা পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে। এতে বৃহৎ একটি অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বাড়ছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিভক্তি দূর করতে হাইকমান্ডের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন নেতা বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নামে বিভিন্ন স্থানে দখল ও চাঁদাবাজি করা হচ্ছে।

মূলত একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠী দলের নাম ভাঙিয়ে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দখল, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর। তিনি এসবকে বরদাশত করছেন না। এরই মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অনেককে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা বলেন, আমরা খোজ রাখছি কে কি করছেন, এর জন্য সবাইকে জবাব দিতে হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!