প্রথম সকাল ডেস্ক:- গোলাপগঞ্জ লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নে ফয়জুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। নিহতের এক ভাইয়ের দাবি পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আর অন্য দুই ভাইয়ের দাবি স্বাভাবিক মৃত্যু।
মারা যাওয়া ফয়জুল ইসলাম গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ।
গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নিহত ফয়জুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, নিহত ফয়জুল ইসলামের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই নজরুল ইসলাম ও বোন মমতার দাবি নিহত ফয়জুল ইসলামকে তাদের আরেক ভাই নুরুল ইসলাম পিটিয়ে হত্যা করেছেন।
অপরদিকে তার অন্য দুই ভাই নুরুল ইসলাম ও ফখরুল ইসলামের (লন্ডন প্রবাসী) দাবি এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। আর এতেই সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তবে স্থানীয়দের দাবি ঘটনার সময় তারা দূর থেকে নিহত ফয়জুল ইসলামের বাড়িতে চিৎকার চেচামেচি শুনেছেন। তবে ঘটনাস্থলে কেউ না থাকায় ঘটনার সত্যতা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নিহত ফয়জুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন বাড়ি করে অন্য জায়গায় বসবাস করছি, বিকেলের দিকে আমার বাড়িতে চেচামেচি শুনেছি, কিন্তু আমার ভাই ফখরুল ইসলামের সাথে আমার বনিবনা না থাকায় আমি আর ঘটনার সময় বাড়িতে যাইনাই। পরে আমার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনতে পাই।
ঘটনার সময় বোন মমতার স্বামী তার চাচা শশুড়ের ঘরে উপস্থিত ছিলেন দাবি করে বলেন, তিনি দূর থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পেয়েছেন,কিন্তু অভিযুক্ত ফখরুল ইসলামের ভয়ে তিনি সেখানে যাননি।
পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন ফয়জুল ইসলাম মারা গিয়েছেন। তার দাবি ঘটনার সময় একমাত্র অভিযুক্ত ফখরুল ইসলাম ও তার পরিবার উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত ফয়জুল ইসলাম দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মাদকাসক্ত ছিলেন। প্রায় এক বছর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে দুমাস আগে বাড়ি ফিরেন।
মাদকাসক্তের বিষয়টি স্বীকার করে বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, সে আগে কিছুটা মাদকাসক্ত ছিলো,তবে দুই মাস আগে সে চিকিৎসা করে বাড়িতে ফিরে আসে।
তবে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু না হত্যা তা নিয়ে কিছুটা ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
এদিকে, এমন ঘটনায় উপজেলা জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ধারণা করছেন পারিবারিক কলহের জেরে হত্যা করা হতে পারে তাকে। এ ঘটনার রহস্য দ্রুত উদঘাটনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।