সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের চোরাকারবারিদের কোন ভাবে ধমন করতে পারছেনা স্থানীয় প্রশাসন, বরং প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে সীমান্তে বেড়েই চলছে চোরাচালান। স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করে যেকোন কাজ করতে পিছপা হয় না এই বাহিনীর সদস্যরা। এই সিন্ডিকেটের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সীমান্ত এলাকার ব্যাবসায়ীসহ সাধারণ মানুষজন।
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১৩ নং বিছনা কান্দি ইউনিয়ন ও রুস্তমপুর ইউনিয়নে দিনে রাতে অহরহ চলছে ভারতীয় গরু মহিষ, মাদকদ্রব্য, মদ, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, ভারতীয় চিনি, বিভিন্ন প্রকারের ক্রিম, পেঁয়াজ, রসুনসহ, ইত্যাদি নিষিদ্ধ পন্য আমদানি। এসকল পন্যসামগ্রি থেকে চাঁদা আদায় করে একটি সিন্ডিকেট চক্র। পুলিশ লাইনের নামে প্রতিদিনই প্রতি মহিষের গাড়ি থেকে ৫০০০ হাজার, গরুর গাড়ি থেকে ৩০০০ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে।
স্থানীয় সুত্র থেকে এ সিন্ডিকেট চক্রের মুলহোতা হিসেবে যাদের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হোসেন, জালাল উদ্দিন মেম্বার। তাদের সাথে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেবুল আহমদ, ফরিদুল, এবং বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন। এই ৫ কুতুবের কারনে স্থানীয় এলাকাবাসী চরম অসস্তির মধ্যে রয়েছেন।
জানা যায়, এসব চোরাই পন্য সামগ্রি বহনে চোরাচালান চক্রের সদস্যদের সাথে এলাকাবাসী কয়েকবার বাকবিতন্ডাও হয়েছে। এসব চোরাচালান চক্রের হুমকি ধামকিতে তটস্থ থাকতে হয় এলাকাবসীদের। সেই সাথে অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় বিছনাকান্দি পর্যটন স্পটে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের। নারী শিশুদের রাস্তায় চলাচল করতে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট অফিসারদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এসব চোরাচালানের লোকজন পুলিশের আত্বীয় বলে পরিচয় দেন। এদের ভয়ে এলাকার কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনা। এদের সাথে পুলিশের লোকজন জড়িত রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ তরিকুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ফরিদুল এবং বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, এটা তাদের বৈধ ব্যবসা। তারা বৈধভাবে বৗবসা করছেন!
উল্লেখ্য গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারী মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় বলেছিলেন, যদি সীমান্ত দিয়ে কোন ভারতীয় গরু,মহিষ, বাজারে প্রবেশ করে খবর দিবেন, সাথে সাথে জব্দ করা হবে।
ভারতীয় গরু, মহিষ, বাজারে প্রবেশ করার আইনত কোন বৈধতা নেই বলেও জানান তিনি। অথচ প্রতিদিনই ভারতীয় অবৈধ পণ্য বাজারে ঢুকছে। এলাকাবাসীর অভিমত—চোরাচালানের গডফাদার গোলাম হোসেন, জালাল উদ্দিন মেম্বারের চাঁদাবাজি বন্ধে আইনগতভাবে কোন ব্যবস্থা না নিলে যেকোন সময় বড় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইগত ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি সংশ্লিষ্ট এলাবাসীর।