সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নগরে ৫০টি অবৈধ স্ট্যান্ড, ৪০ হাজার সিএনজি অটোরিকশা অবৈধ, আগামীকাল থেকে অভিযান ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল তিন দেশ তফসিল ঘোষণা, ৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচন দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃ/ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ শিক্ষার্থীর মৃ ত্যু র ঘটনায় সিলেট স্কলার্সহোমে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : ৫ দফা দাবি আগামীকাল থেকে নগরীতে অভিযান : অনুমোদনবিহীন কাগজপত্র ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না চুনারুঘাটে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সং-ঘ-র্ষে নি/হ/ত ১ গোলাপগঞ্জে এমরান চৌধুরীর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল ছাতকে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে সং ঘ র্ষ, আ/হ/ত ১৫ শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এড়াতে রোববার স্কলার্সহোম বন্ধ ঘোষণা

অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা আলফু এখনও অধরা?

প্রথম সকাল ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ১৭৩ বার পড়া হয়েছে

সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ ৩ নং তেলিখাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, অপরাধ জগতের বেতাজ বাদশা কাজী আব্দুল ওয়াদুদ আলফু মিয়া একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। খুন, অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রায় সব ধরনের অপরাধে তার নাম জড়িয়ে থাকলেও, তিনি এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাগালের বাইরে রয়ে গেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলফু মিয়া দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দিতে ২টি খুনের মামলার ১ নম্বর আসামি, কোম্পানিগঞ্জে আরও ১টি খুনের প্রধান আসামি, অস্ত্র ও মাদকসহ অন্তত ১৪-১৫টি মামলার আসামি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে বন্দুক উঁচিয়ে নেতৃত্বদাতা এবং অস্ত্রের মহড়া, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সক্রিয় সদস্য।

বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানিয়েছে আলফু মাসিক বড় অংকের বখরার বিনিময়ে দক্ষিণ সুরমা থানা, বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের ম্যানেজ করে চলাফেরা করছেন। যে কারণে এখনো তিনি নিজ বাড়ীতে নিরাপদে বিলাসী জীবন যাপন করছেন। আলফুর নিজের আধিপত্য জাহির করার জন্য বড়ইকান্দি এলাকায় এক প্রতিবেশীর সাথে অন্য প্রতিবেশীর বিবাদ লাগিয়ে রাখতেন, যাতে তিনি বিচার সালিশ করে দাপট দেখাতে পারেন।

অথচ ভোটার তথ্য বলছে, তিনি বরইকান্দির নন; তেলিখাল ইউনিয়নের বাসিন্দা। মরহুম কাজী কাচা মিয়ার সৎ ভাই ও বাবার তৃতীয় পক্ষের সন্তান হওয়ায় সম্ভ্রান্ত কাজীবাড়ি তাকে দীর্ঘদিন স্বীকৃতি দেয়নি।তেলিখাল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও ৩ নম্বর রোডের সাথে বিরোধের পর আংশিকভাবে কিছু মানুষ মেনে নিলেও বৃহত্তর অংশ আজও তাকে বর্জন করে।

কাজীবাড়ির এক প্রবীণ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন “এই বাড়ি গোটা দক্ষিণ সুরমার ঐতিহ্যের প্রতীক, এখানে কাজী তুলা মিয়া বাড়ি বলতে আমরা গর্ববোধ করি সন্ত্রাসীদের জায়গা নেই।” এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে পানিপথে আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ চাঁদাবাজির মাধ্যমে আলোচনায় ছিলেন আলফু মিয়া।

অভিযোগ রয়েছে, নদীপথে চলাচলকারী নৌযান, পাথরবাহী ট্রলার থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন তিনি। স্থানীয় নৌযান চালকরা জানান, অতিরিক্ত অর্থ না দিলে অনেক সময় নৌযান আটকে দেওয়া হতো বা পাথর খালাসে বাধা সৃষ্টি করা হতো। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা থাকলেও প্রশাসন থাকে গ্রেফতার করছে না।

এতো মামলা থাকার পরও সে বরইকান্দি দশ নং রোডে নিজের বাড়িতে অবস্থান করছে। আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলেও কাচা টাকার গন্ধ ভূলতে পারছেননা দোসর আলফু। তিনি তাহার বোন জামাই জামায়াতের এক নেতার নামে কোম্পানীগঞ্জের ধলাই সেতুর দক্ষিণ পাশ বালি উত্তোলনের জন্য লিজ নিয়ে রমরমা ব্যবসা করছেন। সেই সুযোগে কোম্পানীগঞ্জের ওসির সাথে হাত মিলিয়ে নদী পথে তাহার লোক দিয়ে চাঁদাবাজিতে বেপরোয়া অবস্থায় আছেন।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
©2020-2025 All rights reserved
Design by: POPULAR HOST BD
themesba-lates1749691102
error: Content is protected !!