প্রথম সকাল ডেস্ক:- ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে নিয়োগের অভিযোগে দুই কর্মকর্তা এবং নিয়োগপ্রাপ্ত ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট মহানগর আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে ১০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের দুজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখতিয়ার বহির্ভূত ও বেআইনিভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ৮ জনকে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ২০২২ ও ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ে এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক, সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (সাময়িকভাবে বরখাস্ত) লুৎফুন্নাহার জেসমিন এবং সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী ও বর্তমানে প্রেষণে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে নিযুক্ত বরুণ ছত্রীকে আসামি করা হয়।
অন্য আসামিরা হলেন- চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তার, তাহসিন মাসুমা কচি, শক্তি রানী পাল, স্নিগ্ধা বিশ্বাস, পূর্ণিমা নম, পলি রানী দাশ, মন্টি সরকার ও পপি দাশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, চাকরির আবেদনে নিজেদের স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলার ভুয়া স্থায়ী ঠিকানা তৈরি করে বিভিন্ন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন ওই ৮ জন।
লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও বরুণ ছত্রী পরস্পর যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তাদের অবৈধভাবে নিয়োগ দেন।
দুদক সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিঝুম রায় বলেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের জেলা নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সুপারিশ বহির্ভূত ৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া গেছে।