নিজস্ব প্রতিনিধি:- সাংবাদিক এটিএম আবু তোরাব হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত সাদেক কাওছার দস্তগীরকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আটক করেছে।
সাদেক কাওছার দস্তগীর, যিনি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় সরাসরি নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেরপুর জেলা থেকে তাকে আটক করে পিবিআই।
পিবিআই সিলেট জেলা ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান দস্তগীরের আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পিবিআইয়ের একটি টিম পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা সাদেক কাওছার দস্তগীরকে নিয়ে সিলেটের দিকে রওয়ানা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।
পিবিআই জানায়, দীর্ঘ তদন্তের পর অভিযুক্ত দস্তগীরের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাকে আটকেট মাধ্যমে মামলার অগ্রগতি এক ধাপ এগিয়েছে।
এটিএম তুরাবের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, দস্তগীরের নির্দেশেই সাংবাদিক তুরাবের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যা তার মৃত্যুর কারণ হয়।
তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক তুরাব তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় একটি রাজনৈতিক মিছিলের ছবি এবং ভিডিও ধারণ করছিলেন। এ সময় নিরাপদ দূরত্বে থাকা সত্ত্বেও তুরাবের ওপর পরিকল্পিতভাবে গুলি চালানো হয়।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগে মামলাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে পিবিআই।
তুরাবের পরিবার ও সাংবাদিক মহল এই আটকের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। তারা আশা করছেন, দস্তগীরসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে।
পিবিআই আরও জানায়, সাদেক কাওছার দস্তগীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার পেছনে আরও তথ্য এবং জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের নাম উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালানো হবে।
১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি এটিএম আব আবু তুবার।
এ ঘটনায় তুরাবের ভাই বাদী হয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানায় দুটি মামলা করেন। এর আগে এ মামলায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেফতার করে পিবিআই।