প্রথম সকাল ডেস্ক:- পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর জন্য দল গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
টুর্নামেন্টের আগে পাকিস্তান দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে। তবে তার আগেই দল গোছানোর কাজ শেষ করে ফেলতে মরিয়া নির্বাচকরা।
এখনও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাকি রয়েছে, যা সাইম আইয়ুবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে। আইয়ুব বর্তমানে গোড়ালির চোট থেকে সেরে উঠছেন।
তার অংশগ্রহণ নির্ভর করছে চোটমুক্ত হয়ে সময়মতো প্রস্তুত হওয়ার ওপর। যদি তিনি ফিট হন, তাহলে একই দল ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেবে। তবে সাইম ফিট না হলে নির্বাচকদের জন্য বিকল্প পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে।
নির্বাচকরা ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক এবং উসমান খান এই দলে থাকবেন না। তবে ফখর জামান নিশ্চিত ভাবেই দলে জায়গা পেয়েছেন। ইমাম-উল-হক এবং উদীয়মান খেলোয়াড় হাসিবুল্লাহকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা নিয়ে আলোচনা এখনও চলছে।
স্কোয়াডে প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে থাকবেন— মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর আজম, সালমান আগা, তাইয়ুব তাহির এবং ইরফান খান। বোলিং বিভাগে পাকিস্তানের শক্তিশালী পেস আক্রমণ নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা রয়েছে।
এতে থাকবেন, শাহীন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, হারিস রউফ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন। এছাড়া কামরান গুলাম, লেগ-স্পিনার আব্রার আহমেদ এবং তরুণ সুফিয়ান মুকীম সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন।
এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান একমাত্র দল যারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করেনি। প্রাথমিক স্কোয়াডের নাম আইসিসিতে জমা দেওয়া হয়েছে, তবে চূড়ান্ত তালিকা ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিশ্চিত করতে হবে। ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হবে ৮ ফেব্রুয়ারি, তাই দল চূড়ান্ত করার জন্য সময় খুব সীমিত।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান ও দুবাইয়ের তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। আটটি অংশগ্রহণকারী দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়েছে।
গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ, আর গ্রুপ ‘বি’-তে রয়েছে আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া।
১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পাকিস্তান তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি যাত্রা শুরু করবে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে হবে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার হাই-ভোল্টেজ ম্যাচটি।