প্রথম সকাল ডেস্ক:- পাকিস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেই সফরের আগে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আচমকা জয়শংকরকে নিয়ে শুরু হলো বিতর্ক।
পাকিস্তানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে এস জয়শংকরকে যোগ দিতে বলে বিতর্ক বাধালেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা।
পিটিআই নেতা তথা খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ আলি সাইফ বলেন, তাদের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য জয়শংকরকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এতে তিনি যেন ভাষণ দেন। সেই মন্তব্যের পরই পাকিস্তানের শাসকপক্ষের রোষের মুখে পড়েছে ইমরানের দল।
পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা সাইফ যে মন্তব্য করেছেন, সেটা চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও আক্রমণ করেছে পাকিস্তানের শাসকপক্ষ। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজের মন্তব্যের পক্ষে সাফাই করলেও যা হওয়ার তা হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিয়ো নিউজে খাইবার পাখতুনখাওয়ার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য জয়শংকরকে আমন্ত্রণ জানাবে পিটিআই। দেখে যান যে পাকিস্তানের গণতন্ত্র মজবুত। যেখানে প্রত্যেকের বিক্ষোভের অধিকার আছে।
এই মন্তব্য নিয়ে পাকিস্তানে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী তথা শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ শিবির) নেতা আতাউল্লাহ তারার অভিযোগ করেছেন, সাইফ যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘চূড়ান্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন’। সেই মন্তব্যের মাধ্যমে ‘পাকিস্তানের প্রতি শত্রুতার’ মনোভাবটা ফুটে উঠেছে।
একইসুরে সিন্ধ প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা সারজিল মেমন বলেন, আজ জয়শংকরকে আমন্ত্রণ করছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ। আগামীকাল ওরা ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে ডাকবে। এটা পাকিস্তান বিরোধী কাজ।
সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক ভেস্তে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে পিটিআই।