নিজস্ব প্রতিনিধি:- জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হলেন ভারতে গ্রেফতার হওয়া সিলেট আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের চার নেতা। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের জোওয়াই ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের জামিন মঞ্জুর হয়।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জোওয়াই পুলিশ স্টেশনের সাব ইন্সপেক্টর জে কে মাজাও। তিনি জানান, গ্রেফতার হওয়ার পর রোববার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আটককৃতদের জোয়াই জেলে প্রেরন করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে বলেন, এজাহারে কারো নাম উল্লেখ না থাকলেও তদন্ত সাপেক্ষে এই ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৪ জন পলাতক রয়েছেন। পরে আদালত শুনানি শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের জোয়াই কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) মেঘালয়ের আদালতে তাদের জামিন শুনানির কথা থাকলেও শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। মেঘালয় রাজ্যের পশ্চিম জৈন্তিয়া হিলস জেলার এমলারিয়াং বিচারক আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সে দেশের আদালতে তাদের হাজির করে জামিন আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (৮ ডিসেম্বর) কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের ৫ নেতাকে গ্রেপ্তার করে শিলং পুলিশ।
তারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট জেলা পরিষদের অপসারিত সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সিলেট মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি আব্দুল লতিফ রিপন, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য ইলিয়াছ আহমদ জুয়েল এবং সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ছাতক উপজেলা যুবলীগ নেতা সাহাব উদ্দিন সাহেল।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সিলেট সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা দিয়ে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং যান।
অভিযুক্তরাও একই সময়ে শিলং যান। শিলং শহরে তারা প্রথমে পুলিশ বাজার এলাকার একটি হোটেলে অবস্থান নেন। পরে শহরের একটি এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। ডিসেম্বরে শীতের প্রকোপ বাড়ায় গত ৫ নভেম্বর তারা শিলং থেকে কলকাতায় স্থানান্তরিত হন।
উল্ল্যেখ্য ‘বাংলাদেশের ছয় নাগরিকসহ অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে ডাউকি পুলিশ স্টেশনে গত ১৬ আগস্ট একজন ট্রাক ড্রাইভার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৯ আগস্ট মামলা রুজু করা হয়। এই মামলায় গত রোববার ৫ জনকে কলকাতা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডাউকি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার চারটি ধারা এবং বিদেশি আইনের ১৪ নম্বর ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে জোওয়াই আদালতের আইনজীবী রাম সিং জানান, তাদের বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, ছিনতাই, জাতীয় সড়কে ডাকাতি, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগও আনা হয়েছে।