ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:- সুনামগঞ্জের ছাতকে সুরমা নদীর টোল প্লাজায় বাঁশ তুলতে দেরি হওয়ায় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
তবে সমন্বয়কদের দাবি, পথচারীদের সঙ্গে টোল প্লাজায় কর্মরত ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। এসময় তারা সামনে ছিলেন। পরে তারা সেই বিষয়টি সমাধান করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা রোছমত আলী রাম সুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট বিভাগীয় অন্যতম সমন্বয়ক আবু সালেহ মো. নাসিম।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন সিলেট-সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজারের সমন্বয়ক নেতারা। অনুষ্ঠান শেষে ছাতক সুরমা সেতুর টোল প্লাজায় বাঁশ তুলতে দেরি হওয়ায় তারা বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে টোল প্লাজা ভাঙচুর করেন সমন্বয়করা।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট বিভাগীয় অন্যতম সমন্বয়ক আবু সালেহ মো. নাসিম বলেন, ‘টোল দেওয়া ও বাঁশ তোলা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো সমস্যা হয়নি।
পথচারীদের সঙ্গে টোল প্লাজায় কর্মরত ব্যক্তিরা দুর্ব্যবহার করায় ঝামেলা হয়েছিল। সেসময় আমরা ঘটনাস্থলে ছিলাম। আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে অনেকগুলো গাড়ি ছিল। টোল দিতে গিয়ে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে পথচারীদের সঙ্গে টোল প্লাজায় কর্মরত ব্যক্তিদের সমস্যা হয়েছে। কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।’
ছাতক থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান বলেন, সমন্বয়করা দোয়ারাবাজারে একটি অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন। পথে টোল প্লাজার বাঁশ তুলতে দেরি হওয়ায় প্লাজার কর্মরত ব্যক্তিদের সঙ্গে তারা বিতণ্ডায় জড়ান। পরে টোল প্লাজা ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।